Skip to main content

ম্যাক অ্যাড্রেস ও আইপি অ্যাড্রেস কি? ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ দুটি কী কাজে লাগে?


ধরুন আপনার ঘরের সামনে একটা মেইলবক্স আছে, কেউ চিঠি পাঠালে ডাকবাহক সেটা ঐ মেইলবক্সে রেখে যান।
আপনার মেইলবক্সটা একদম ইউনিক, এর রঙ, আকার ডিজাইন সব আলাদা। কিন্তু ডাকবাহক বা চিঠির প্রেরকের এই মেইলবক্সের ধরণ কেমন তা জানার কোন দরকার নেই। তারা শুধু আপনার ঠিকানাটা জানলেই চলবে।
এখানে মেইলবক্সটা হলো আপনার MAC বা Media Access Control Address, এবং আপনার ঠিকানা হলো IP বা Internet Protocol Address.
MAC অ্যাড্রেস আপনার ডিভাইস, অর্থাৎ যে কানেকশন রিসিভ করবে তার সাথে সম্পর্কিত, IP অ্যাড্রেস আপনার ঐ ডিভাইসের ঠিকানার সাথে সম্পর্কিত।
ইন্টারনেটের সাথে এদের সম্পর্কটা একটু আলাদা, আপনি যদি রাউটার ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনার ফোন বা কম্পিউটারের ম্যাক অ্যাড্রেস রাউটারের ম্যাক অ্যাড্রেসের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে। আপনার রাউটার আবার আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারের রাউটারের সাথে যুক্ত হবে, এখানে আপনার ফোন বা কম্পিউটারের ম্যাক অ্যাড্রেস কিন্তু প্রথম রাউটার পর্যন্ত গিয়েই শেষ, পরের কানেকশন গুলো এই ম্যাক অ্যাড্রেসটি আর দেখতে পাবেনা (এটি দেখলেও তাতে কোন সিকিউরিটি রিস্ক নেই)।

অন্যদিকে IP অ্যাড্রেস ইন্টারনেটে রিকুয়েস্ট পাঠানো এবং গ্রহণ করার কাজ করে, এটি ডিভাইসের সাথে সম্পর্কিত নয়, সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ আপনার অপারেটর বা ওয়াইফাই প্রোভাইডর পরিবর্তন করলে আইপি এড্রেসেও পরিবর্তন আসবে। প্রত্যেক ওয়েবসাইটেরও এরকম একটি ইউনিক আইপি এড্রেস থাকে। আপনার আইপি থেকে ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেসে যখন কোন লিঙ্ক বা ফাইলের জন্য অনুরোধ পাঠানো হয়, ওয়েবসাইট হোস্ট ঐ রিকুয়েস্ট যাচাই করে একটি রেসপন্স আপনার আইপিতে ফেরত পাঠায়। আপনার আইপি আর ওয়েবসাইট আইপি এখানে সরাসরি যোগাযোগ করছে, ম্যাক অ্যাড্রেসের মতো প্রত্যেক ডিভাইসে আইপি এড্রেস হারিয়ে যায়না।

তবে আপনি যখন VPN ব্যাবহার করেন, তখন আপনার রিকুয়েস্ট VPN সার্ভার গ্রহণ করে তা অপেক্ষায় রাখে, এবং এর নিজস্ব আরেকটি আইপি থেকে ওয়েব সাইটে রিকুয়েস্ট পাঠায়। ওয়েবসাইট ঐ আইপিতে তার রেসপন্স পাঠালে VPN সার্ভার আপনার অপেক্ষারত আইপিতে সেটি রিডাইরেক্ট করে। এখানে VPN মিডল-ম্যানের মতো কাজ করে, ফলে ওয়েবসাইট আপনার আইপি দেখতে পায়না, আর আইপি না দেখাতে আপনার সার্ভিস প্রোভাইডার বা লোকেশনও অনুমান করতে পারেনা।
সহজ ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করলাম, কোন অংশ বুঝতে কষ্ট হলে অবশ্যই মন্তব্যে জিজ্ঞেস করুন।

Comments

Popular posts from this blog

আপনাকে যদি বলা হয়, আমার জীবনকে উন্নত করার জন্য একটা পরামর্শ দিতে, তাহলে কী পরামর্শ দেবেন?

একটি নয়, কয়েকটি পরামর্শ দিতে চাইব। এগুলো সবই জীবনে উন্নতি করতে কিংবা সুখী হতে ভীষণ জরুরী। আপনার ইচ্ছেমতো বেছে নিন একটি কিংবা ভাল লাগলেই সবকটিই। চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি! "শিখতে থাকুন" জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। প্রতিটি পদক্ষেপে, আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে, একটা বটগাছের কাছ থেকে কিংবা নদীর কাছ থেকে শিক্ষা নিন। যত জ্ঞান অর্জন করবেন, তত জীবন সহজতর এবং উপভোগ্য হয়ে উঠবে। একটা বট গাছ আপনাকে শেখাবে কিভাবে শত অত্যাচার বিনা প্রতিবাদে সহ্য করে রোদ ঝড় জলে সেই অত্যাচারকারীদেরই কি করে আশ্রয় দিতে হয়। আকাশের মত মহান হোন, অন্তর হোক সাগরের মত বিশাল। একটা স্রোতস্বিনী আপনাকে শেখাবে নিজের গতিতে চলতে। কারো জন্যে জীবন থেমে থাকে না। বয়ে যাও, অনির্বাণ শিখার মত জ্বলতে থাকো। "অল্পে তুষ্ট থাকুন" আমরা যত পাই, তত চাই। এত আছে তবু আরো চাই। এই চাওয়ার শেষ কিন্তু আপনার আমার হাতেই। অল্পে তুষ্ট হওয়ার অভ্যেস করুন।চর্চা করতে থাকুন, আপনা আপনি এই গুন একদিন আপনার ভেতর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চলে আসবে। "ভালো শ্রোতা হোন" সবাই জ্ঞান বিলাতে ভালবাসে। সবাই বলতে ভালবাসে। সবাই বক্তা হতে চায়।

কোনও মেয়েকে প্রভাবিত করার সর্বোত্তম উপায় কী?

প্রেমে পড়িয়া পড়িয়া পুড়িয়া পুড়িয়াও আমার আজও জানা হয় নাই কেন এতবার প্রেমে পড়িয়াছি। এ এক মারাত্মক রোগ। একদিন বৌ এর সঙ্গে বসে হিসেব করে দেখলাম ৫৮ নম্বরে বিয়ে করেছি। বিয়ের পরেও লিটিল লিটিল প্রেম আসিয়াছিল, বৌকে বলিনাই। কারণ আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। মার খাওয়ার বাসনা মোটেও নাই। লোকে বলে প্রেম জীবনে একবার হয়, কিন্তু আমি দেখিয়াছি যাদের মন প্রেমে পুড়েও মরে না তাদের বারবার প্রেম হয়। এবার প্রেমে পড়ানোর উপায় বলি, মানে পাতি বাংলায়  ইমপ্রেস   করা আরকি … ………………………………… যারা কথা বলতে পারে, মানে কথার জাদুগর তারাই সবচেয়ে বেশি মেয়েকে ইমপ্রেস করতে পারে। টাকা গাড়ি বাড়ি বহু ব্যটাছেলের আছে কিন্তু সেই গাড়িতে চাপার মতো কেউ নাই, বাড়িটা যেন আশ্রম। মেয়েরা দায়িত্ববান ছেলের প্রতি খুব আকৃষ্ট হয়। আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। মুখের চেয়ে চোখে বেশি কথা বলার দক্ষতা থাকা একান্তই দরকার। সত্যি কথা বলার সাহস থাকতে হবে। তার চেয়েও বড়, মিথ্যে কথাবলায় প্রচণ্ড শক্তিশালী হতে হবে। মিথ্যে কথা মানে, আমার বাবার এই আছে ওই আছে, আমি এই আমি সেই নয় কিন্তু… স্বপ্ন বুনতে জানতে হবে, যেন তোমার মুখের কথায় ওর চো

কখন এমন হয়েছে কি কোন একজনের সঙ্গে ঝগডা ঝাঁটি করার পর আপনি তার প্রেমে পডেন

হ্যাঁ, হয়েছে বৈকি! সেটাও আবার এই  বাংলাতেই। তাও আবার যে সে লোকের সাথে না, একদম খোদ  রকস্টার  মাসরুফ  ভাই এর সাথে। আচ্ছা,তাহলে গল্পটা শুরু থেকেই বলি। বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা উত্তর অনুবাদ করেছিলাম,  একজন প্রবীণ পুলিশ অফিসার হিসেবে আপনি এমন কিছু কি কখনও দেখেছেন, যা আপনাকে অবাক করেছে? । সেখানে আমি নির্বোধের মতো একটি বাংলাদেশী ঘটনার (আসল ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের) ছবি জুড়ে দি।  অরিন্দম পাল  বাবু আমায় সতর্ক করেন যে কাজটা ঠিক হয়নি, কিন্তু আমি ওনার কথায় কর্ণপাত করি না। তারপর একদিন  মাসরুফ  ভাইও আমায় বেশ কড়া করে দু চার কথা শুনিয়ে দেন। আর আমিও গোঁয়ার এর মতো ওনার সাথে ঝগড়া জুড়ে দি। মাঝখান থেকে  শাহ্জালাল  ভাই আমাদের ঝগড়া থামাতে এসে, দু চারটে গালি খেয়ে যান। তবে এখন আমি বনে গেছি মাসরুফ ভাই এর একজন গুণমুগ্ধ (কিছুটা রুপমুগ্ধও বটে) ভক্ত। ইতিমধ্যে ওনার সাথে একবার ফোনালাপ ও হয়ে গেছে। ওনার লেখার প্রেমে তো আগেই পড়েছিলাম এখন ওনার গলারও প্রেমে পড়ে গেছি। এখন ভয় হচ্ছে, ওনার সাথে যখন সামনা সামনি দেখা হবে তখন আনন্দে অজ্ঞান না হয়ে যাই। শেষে সমস্ত মহিলা 'ন দের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই