Skip to main content

আপনাকে যদি বলা হয়, আমার জীবনকে উন্নত করার জন্য একটা পরামর্শ দিতে, তাহলে কী পরামর্শ দেবেন?


একটি নয়, কয়েকটি পরামর্শ দিতে চাইব। এগুলো সবই জীবনে উন্নতি করতে কিংবা সুখী হতে ভীষণ জরুরী। আপনার ইচ্ছেমতো বেছে নিন একটি কিংবা ভাল লাগলেই সবকটিই। চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি!

"শিখতে থাকুন"
জীবনে শেখার কোন শেষ নেই।
প্রতিটি পদক্ষেপে, আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে, একটা বটগাছের কাছ থেকে কিংবা নদীর কাছ থেকে শিক্ষা নিন। যত জ্ঞান অর্জন করবেন, তত জীবন সহজতর এবং উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
একটা বট গাছ আপনাকে শেখাবে কিভাবে শত অত্যাচার বিনা প্রতিবাদে সহ্য করে রোদ ঝড় জলে সেই অত্যাচারকারীদেরই কি করে আশ্রয় দিতে হয়।
আকাশের মত মহান হোন, অন্তর হোক সাগরের মত বিশাল।
একটা স্রোতস্বিনী আপনাকে শেখাবে নিজের গতিতে চলতে। কারো জন্যে জীবন থেমে থাকে না। বয়ে যাও, অনির্বাণ শিখার মত জ্বলতে থাকো।
"অল্পে তুষ্ট থাকুন"
আমরা যত পাই, তত চাই। এত আছে তবু আরো চাই। এই চাওয়ার শেষ কিন্তু আপনার আমার হাতেই। অল্পে তুষ্ট হওয়ার অভ্যেস করুন।চর্চা করতে থাকুন, আপনা আপনি এই গুন একদিন আপনার ভেতর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চলে আসবে।
"ভালো শ্রোতা হোন"
সবাই জ্ঞান বিলাতে ভালবাসে। সবাই বলতে ভালবাসে। সবাই বক্তা হতে চায়। কিন্তু ভাল শ্রোতা হওয়া কিন্তু এক অনন্য এবং অপরিহার্য যোগ্যতা। ভাল শ্রোতা হোন, জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। সেই সাথে লোকে আপনাকে ভালও বাসবে। কঠিন কাজ, এইটে নিজেই এখনো আয়ত্তে আনতে পারছি না। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
"রেগে গেলেন ত হেরে গেলেন"
হঠাৎ রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেললেন, যা আপনার বলা উচিৎ হয় নি। "কথা আর বন্দুকের গুলি কিন্তু একই জিনিস"। একবার ছুড়ে দিলে আর ফেরত নেয়া যায় না। তাই ভেবে চিন্তে কথা খরচ করুন।
একটা ছোট্ট গল্প বলি,
কুমির ভরা এক পুকুরের সামনে এক রাজকুমারীর স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করা হল। সভায় ঘোষণা দেয়া হল, যে এই কুমির ভরা পুকুর সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারবে সেই পাবে রাজকন্যা, সাথে তাঁর অর্ধেক রাজত্ব। রাজকুমারী বলে কথা। শত শত নওজোয়ান তাঁর পাণিপ্রার্থী। ভিড়ের মাঝে এক তরুণ দাড়িয়ে ছিল পুকুরের কাছ ঘেঁষেই। সে ঝপ করে পুকুরে পড়ে গেল। প্রাণপণে সাঁতরে সে সেই ভয়ংকর পুকুরের পাড়ে উঠতে সক্ষম হল। উপস্থিত জনতা, বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। কিন্তু সেই তরুণ পাড়ে উঠেই চিৎকার করে উঠল, কে আমাকে ধাক্কা দিয়েছিল পুকুরে! সাহস থাকে ত সামনে আসুক।









গল্পের এই তরুণ শুধুমাত্র রেগে যাওয়ার কারণেই রাজকন্যা এবং অর্ধেক রাজত্ব পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারালো। সে যদি মাথা ঠান্ডা রাখতো তাঁর ভবিষ্যৎ মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারত। আমাদের বেলায় কিন্তু এই ব্যাপারটাই প্রযোজ্য। :)
চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তেও চেষ্টা করুন মাথা ঠান্ডা রাখতে।
আর একটা কথা, সবাইকে খুশি করা যায় না। এই ব্যাপারটা যত দ্রুত বুঝবেন ততোই মঙ্গল। কে কি ভাবলো এ নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিন। সবাই কি ভাববে এই নিয়ে যদি আপনিই ভাবেন, আপনার ভাবনাটা কে ভাববে।
নিজেকে নিয়ে ভাবুন, নিজেকে ভালবাসুন, নিজের খেয়াল রাখতে ভুলবেন না। দিন শেষে, নিজেকে ভালবাসতে না পারলে জীবনে উন্নতি, সুখ কোনটাই সম্ভব নয়।
Hmsa Ruhan

Comments

  1. How to Play Baccarat - The Worrione
    The main objective of baccarat is to 1xbet korean win a big win and the best part worrione of it all. The main choegocasino goal of baccarat is to win a big number of different tricks.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কোনও মেয়েকে প্রভাবিত করার সর্বোত্তম উপায় কী?

প্রেমে পড়িয়া পড়িয়া পুড়িয়া পুড়িয়াও আমার আজও জানা হয় নাই কেন এতবার প্রেমে পড়িয়াছি। এ এক মারাত্মক রোগ। একদিন বৌ এর সঙ্গে বসে হিসেব করে দেখলাম ৫৮ নম্বরে বিয়ে করেছি। বিয়ের পরেও লিটিল লিটিল প্রেম আসিয়াছিল, বৌকে বলিনাই। কারণ আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। মার খাওয়ার বাসনা মোটেও নাই। লোকে বলে প্রেম জীবনে একবার হয়, কিন্তু আমি দেখিয়াছি যাদের মন প্রেমে পুড়েও মরে না তাদের বারবার প্রেম হয়। এবার প্রেমে পড়ানোর উপায় বলি, মানে পাতি বাংলায়  ইমপ্রেস   করা আরকি … ………………………………… যারা কথা বলতে পারে, মানে কথার জাদুগর তারাই সবচেয়ে বেশি মেয়েকে ইমপ্রেস করতে পারে। টাকা গাড়ি বাড়ি বহু ব্যটাছেলের আছে কিন্তু সেই গাড়িতে চাপার মতো কেউ নাই, বাড়িটা যেন আশ্রম। মেয়েরা দায়িত্ববান ছেলের প্রতি খুব আকৃষ্ট হয়। আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। মুখের চেয়ে চোখে বেশি কথা বলার দক্ষতা থাকা একান্তই দরকার। সত্যি কথা বলার সাহস থাকতে হবে। তার চেয়েও বড়, মিথ্যে কথাবলায় প্রচণ্ড শক্তিশালী হতে হবে। মিথ্যে কথা মানে, আমার বাবার এই আছে ওই আছে, আমি এই আমি সেই নয় কিন্তু… স্বপ্ন বুনতে জানতে হবে, যেন তোমার মুখের কথায় ওর চো

কখন এমন হয়েছে কি কোন একজনের সঙ্গে ঝগডা ঝাঁটি করার পর আপনি তার প্রেমে পডেন

হ্যাঁ, হয়েছে বৈকি! সেটাও আবার এই  বাংলাতেই। তাও আবার যে সে লোকের সাথে না, একদম খোদ  রকস্টার  মাসরুফ  ভাই এর সাথে। আচ্ছা,তাহলে গল্পটা শুরু থেকেই বলি। বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা উত্তর অনুবাদ করেছিলাম,  একজন প্রবীণ পুলিশ অফিসার হিসেবে আপনি এমন কিছু কি কখনও দেখেছেন, যা আপনাকে অবাক করেছে? । সেখানে আমি নির্বোধের মতো একটি বাংলাদেশী ঘটনার (আসল ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের) ছবি জুড়ে দি।  অরিন্দম পাল  বাবু আমায় সতর্ক করেন যে কাজটা ঠিক হয়নি, কিন্তু আমি ওনার কথায় কর্ণপাত করি না। তারপর একদিন  মাসরুফ  ভাইও আমায় বেশ কড়া করে দু চার কথা শুনিয়ে দেন। আর আমিও গোঁয়ার এর মতো ওনার সাথে ঝগড়া জুড়ে দি। মাঝখান থেকে  শাহ্জালাল  ভাই আমাদের ঝগড়া থামাতে এসে, দু চারটে গালি খেয়ে যান। তবে এখন আমি বনে গেছি মাসরুফ ভাই এর একজন গুণমুগ্ধ (কিছুটা রুপমুগ্ধও বটে) ভক্ত। ইতিমধ্যে ওনার সাথে একবার ফোনালাপ ও হয়ে গেছে। ওনার লেখার প্রেমে তো আগেই পড়েছিলাম এখন ওনার গলারও প্রেমে পড়ে গেছি। এখন ভয় হচ্ছে, ওনার সাথে যখন সামনা সামনি দেখা হবে তখন আনন্দে অজ্ঞান না হয়ে যাই। শেষে সমস্ত মহিলা 'ন দের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই